হেফাজতের দাবির মুখে সুপ্রিম কোর্টের ভাস্কর্যটি সরানোর প্রতিবাদে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে বিক্ষোভ করার সময় গ্রেপ্তার করা ছাত্র ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক লিটন নন্দীসহ ৪ জনকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। তবে একইসঙ্গে জামিনের পূর্ণাঙ্গ শুনানির দিন রোববার ধার্য করেছেন আদালত।
ঢাকা মহানগর হাকিম সত্যব্রত শিকদারের আদালতে এ নির্দেশ দেয়া হয়।
এর আগে গ্রেপ্তারকৃত ছাত্র ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক লিটন নন্দীসহ ৪ আসামিকে আটক রাখার আবেদন করেছে পুলিশ।
শনিবার ঢাকা সিএমএম আদালতে হাজির করে মামলার তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা।
লিটন নন্দী ছাড়াও গ্রেপ্তারকৃত অপর আসামিরা হলেন ঢাকা কলেজ ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতি মোরশেদ আলীম, লালবাগ থানার শিক্ষা ও গবেষণা সম্পাদক আল আমীন জয় ও উদীচীর সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য আরিফ নূর।
শুক্রবার দোয়েল চত্বরে বিক্ষোভ করার সময় তাদের আটক করে পুলিশ।
ছাত্র ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক লিটন নন্দীসহ ১৪০ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে পুলিশ। শুক্রবার রাতে পুলিশ হত্যা চেষ্টা, দাঙ্গা বাঁধানো, সরকারি কাজে বাধা প্রদানসহ ৯টি অভিযোগে পুলিশ বাদি হয়ে মামলা করে।
শাহবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকতা (ওসি) আবুল হোসেন আরটিভি অনলাইনকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণ থেকে গ্রিক দেবীর ভাস্কর্য সরানো হয়। রোমান যুগের ন্যায়বিচারের প্রতীক ‘লেডি জাস্টিস’র আদলে ভাস্কর্যটি কয়েক মাস আগে দেশের সর্বোচ্চ আদালত প্রাঙ্গণে স্থাপন করা হয়।
এরপর থেকেই হেফাজতে ইসলামসহ ধর্মভিত্তিক কয়েকটি দল ভাস্কর্যটি সরানোর জন্য আন্দোলন করে আসছিল। একইসঙ্গে সরকারের ওপরও চাপ তৈরি করে তারা।
ভাস্কর্য সরানোর পর প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদের পাশাপাশি দেশের সব 'মুর্তি' সরানোর নতুন দাবি জানিয়েছে হেফাজতে ইসলাম।
- ভাস্কর্য অপসারণের প্রতিবাদ : লিটন নন্দীসহ ৪ আসামি আদালতে
- ছাত্র ইউনিয়ন সম্পাদক লিটন নন্দীসহ ১৪০ জনের বিরুদ্ধে মামলা
- মুক্তিযুদ্ধের চেতনার ভাস্কর্য সরানোর প্রশ্নই ওঠে না : কাদের
- লিটন নন্দীরা কারাগারে
এসজে